You may advertise here for this year (Contact :- Bikash Mazumder, Ph : +91 98311 87124)

President's Speech

  • Home
  • President's Speech

সােমেনবাবুর অবর্তমানে কমিটির সদস্যরা আমায় সভাপতি নির্বাচন করেন, আমি বিনয়ের সঙ্গে সাধ্যমত এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমার সঙ্গে কলেজ স্কোয়ার পূজার যােগাযােগ ১৯৬৬ সাল থেকে, তখন আমি প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্র। মধু অধিকারীর হাত ধরে আমি পূজোর সঙ্গে যুক্ত হই। তার আগেও ছােটবয়সে রমেশ পালের ঠাকুর দেখতে কলেজ স্কোয়ারে গিয়েছি। মধুদা অনেকদিন নেই, কিন্তু যাটের দশকের যারা পূজোর নেতৃত্ব দিতেন, তারা অনেকেই আছেন পূজোয় সক্রিয়ভাবে। আমি এই প্রসঙ্গে শিবপদ ভট্টাচার্য (বাদল), রমেন চৌধুরী (লান্টু), বিজন ভট্টাচার্য (পন্টু), দিলীপ সেন, মুকুল দাস ইত্যাদির কথা বলতে চাই, তবে অনেক বিশিষ্ট সদস্য এই সময়ে হারিয়ে গিয়েছেন। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্মরণ করি এর মধ্যে অনেক পরবর্তী প্রজন্ম উঠে এসেছেন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদকদ্বয় বিকাশ মজুমদার ও ভ্রমর চ্যাটার্জী এদেরই প্রতিনিধি। কলেজ স্কোয়ারের পূজো শুধু পূজো নয়, একটি প্রতিষ্ঠান, ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য তৈরী হয়েছে। এর মূল গুরুত্ব এর অবস্থান, কলেজ স্কোয়ারের সামনে কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতােষ ও সেন্টেনারী বিল্ডিং পাশে সংস্কৃত কলেজ, হিন্দু স্কুল, আলাে জ্বালানাে এই বাড়িগুলির ছায়া কলেজ স্কোয়ারের জলে পড়ে। একটু দূরে প্রেসিডেন্সী কলেজ। এই পরিবেশে কলেজ স্কোয়ারের পূজো কমিটির লােকেরা সুদৃশ্য মণ্ডপ, অসাধারণ প্রতিমা এবং শ্রেষ্ঠ আলােকসজ্জার আয়ােজন করে এসেছেন। তার ফলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পূজোর দর্শক হয়েছে। ষাট ও সত্তর দশকে অশান্তির সময়েও এই ভীড় কমেনি। কলেজ স্কোয়ারের দূর্গাপূজোর সাথে সাথে সমাজসেবার কাজও চালিয়ে গিয়েছে প্রতি বছর নিয়ম করে রক্তদান হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজের ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থসাহায্য করা হয়। গত বছর কোভিডের সময় পূজা করতে খুব অসুবিধা হয়েছে। তাও পূজার মান কমিটি রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। এবছর কোভিড মিটলে আশা করা । যায় যে আড়ম্বরে পূজা করা যাবে। দূর্গাপূজা বাঙালীর শ্রেষ্ঠ জাতীয় উৎসব। বহু মানুষের রুটি রুজি, আনন্দ, অনেকাংশে এই পূজার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বাঙালীর দুর্গাপূজায় কলকাতার কলেজ স্কোয়ারের একটা আলাদা মর্যাদা আছে, যেটা রক্ষা করাই হবে আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য,